Sunday, March 28, 2010

‘আইটি ক্যাডার’ বিহীন ডিজিটাল বাংলাদেশ...

প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শ্লোগান, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ তথা বর্তমান সরকারের প্রশংশনীয় একটি উদ্যোগ।কিত্নু শুধু শ্লোগান নয়, এটাকে বাস্তবরুপ দেয়ার জন্য প্রয়োজন আই.টি শিক্ষায় শিক্ষিত, দক্ষ এবং মেধাবী কর্মী বাহিনী। প্রতিযোগীতামুলক বি.সি.এস এর মাধ্যমে যে ক্যাডার নেয়া হয়, তারা নিঃসন্দেহে বাংলার শ্রেষ্ঠ মেধাবী সন্তান এবং রাষ্ট্র পরিচালনার দক্ষ হাতিয়ার। কিন্তু ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ মুখে বলা হলেও আজ অবধি এই বি.সি.এস এর মাধ্যমে আই.টি শিক্ষায় শিক্ষিত ‘আইটি ক্যাডার’ নেয়ার কোনো রকম উদ্যোগ নেয়া হয় নি।৩০ তম বি.সি.এস এ আই.টি গ্রাজুয়েটদের ‘টেকনিক্যাল ক্যাডার’ এ তো সুযোগ নেই ই এমনকি ‘প্রফেশনাল ক্যাডার’(কলেজের শিক্ষক) হিসেবেও নেই তাদের ঠাঁয়-অথচ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনেক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজেই ‘কম্পিউটার সায়েন্স’ বিষয়ের উপর ডিগ্রি দেওয়া হয়।ডিজিটাল,ডিজিটাল বলে গলা ফাটিয়ে কাজের সময় গতানুগতিক ধারার এনালগ পদ্ধতির অনুসরণ করলে দেশ স্বংক্রিয়ভাবে ডিজিটাল হবে না।আইটি শিক্ষিত যুব সমাজেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সরাসরি কাজে নিয়োজিত না করলে, সাবমেরিন কেবলের সিংহভাগ ব্যান্ডউইথ অব্যাবহুত পড়ে থাকা কিম্বা ভিওআইপির মত লাভজনক উন্নত প্রযুক্তি বন্ধের মত অপরিপক্ক সিদ্ধান্ত আমরা নিতেই থাকব। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে ‘আইটি ক্যাডার’ সূষ্টি এখন সময়ের দাবী।

আব্ধুল্লাহ-আল-মামুন

published at:
http://www.somewhereinblog.net/blog/quantumscience/29124947
http://quantumscience.amarblog.com//posts/102597/

Sunday, March 7, 2010

আমার নিস্পাপ তুমি...(Kobita)

আমার নিস্পাপ তুমি...

আব্দুল্লাহ-আল-মামুন



একবার তুমি নীল শাড়ী পরে,

মেঘ দেখতে এসেছিল।

আমি নীল পরী ভেবে ভুল করেছিলাম।

মুহুর্তেই আমার বুকে জমাট বাঁধা নীল কষ্টগুলো

উড়ে গিয়েছিল তোমার নীল আঁচলের

আবেগী বাতাসে।

নীলা তোমার মনে আছে? একদিন তুমি

সাদা শাড়ী পরে,

আমার সাথে পুর্ণিমা দেখতে বেরিয়েছিলে।

বিশ্বাস কর, আমি একটি বারের জন্যেও

ঐ চাঁদের দিকে

মুখ তুলে তাকায় নি,

আমার তাকানোর প্রয়োজন পড়েনি

সেদিন আমি তোমায়

চাঁদ ভেবে ভুল করি নি নীলা,

কারণ আমি জানি চাঁদ কলংকিত

কিন্তু আমার তুমি, নিস্পাপ, মহা পবিত্র।



পহেলা ফাল্গুন। টি.এস.সি তে বসে কবিতা পড়ছি,

আর তোমার জন্যে অপেক্ষা করছি।

হঠা হলুদ শাড়ী পরা তোমাকে দেখলাম,

শান্ত, নিশ্চিন্ত ভঙ্গিতে আমার দিকে আসছ।

মুহুর্তে আমি আমার হলুদ পাখিটিকে নিয়ে

হারিয়ে গিয়েছিলাম দূর অজানায়।

তুমি এসে গায়ে হাত দিয়ে ডাকলে,

আমি আবার ফিরে এলাম

আমার প্রাণপ্রিয়, আদুরে পাখিটির কাছে।

জানো নীলা, সেদিন আমি তোমায়

হলুদ পাখি ভেবে ভুল করি নি।

ঐ দিগন্ত বিস্তৃত খোলা আকাশ,

চিকার করে ডেকে বলেছিল,

আসো, আমার বুকে ডানা ঝাপটাও,

উড়ো, আমাকে ধন্য কর।

কিন্তু তুমি ঐ ঈর্ষাপরায়ণ আকাশকে নয়

আমাকে ধন্য করেছিলে।



“নীলা শোনো, লাল শাড়ীতে তোমাকে

দারুন মানায়, যেন এক

প্রস্ফুটিত নিস্পাপ গোলাপ।”-একবার তোমাকে

ডেকে বলেছিলাম। তুমি

শুধু হেসেছিলে কিন্তু অবাকও হয়েছিলে

যখন এক হাজার একটা তাজা গোলাপ,

আমার গোলাপের পায়ের নিচে সঁপে দিয়েছিলাম।



বিশ্ব বিধাতা নিজ হাতে তোমায় সূষ্টি করেছেন

প্রকূতির সমস্ত সৌন্দর্যকে লজ্জা দিতে,

আর তাইতো ঐ কলংকিত চাঁদ

আমার নিস্কলংক তোমাকে দেখে মেঘের আড়ালে লুকোয়,

বাগানের ঐ ফুল লজ্জায় ঝড়ে যায়

বিধাতা আমায় করুণা করে তোমাকে দান করেছেন।

বিধাতার কাছে আমার জীবনের শেষ চাওয়া,

এ দান যেন আমার জীবন দিয়ে হলেও

অক্ষত রাখতে পারি।