Saturday, October 23, 2010
Tuesday, September 7, 2010
Animator Vs Animation....
Sunday, August 15, 2010
100...
এটি নিজের দোষ অন্য কম্পিউটারের ঘাড়ে চাপাতে পারে না।
২. একটি বই থেকে নিয়ে লিখলে সেটা হয় চুরি। আর কয়েকটা বই থেকে নিয়ে লিখলে সেটা হয় গবেষণা।
৩. প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি হলেন তিনি, যাঁর বৃদ্ধি ওপর ও নিচ এ দুই প্রান্ত থেকে থেমে গেছে, কিন্তু পাশে বাড়ছে।
৪. হে প্রভু, আমাকে ধৈর্য দাও। এখনই দাও। এক্ষুনি।
৫. নির্বোধের সঙ্গে তর্কে যেয়ো না। সে তোমাকে নিজের পর্যায়ে নামিয়ে আনবে এবং নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে তোমাকে হারিয়ে দেবে।
৬. মানুষ মাত্রেরই ভুল হয় কিন্তু অফিস মাত্রই তা ক্ষমা করে না।
৭. আমি আমার দাদার মতো ঘুমের মধ্যে শান্তিতে মরতে চাই, তাঁর বাসের যাত্রীদের মতো চিত্কার করতে করতে নয়।
৮. শিশুর সংজ্ঞা হলো--যাদের জন্মের পর প্রথম দুই বছর চলে যায় হাঁটা আর কথা শেখায় এবং তার পরের ১৬ বছরই কেটে যায় তাদের মুখ বন্ধ রাখা আর স্থির হয়ে বসা শেখায়।
৯. আপনার যথেষ্ট পরিমাণ টাকা আছে, শুধু এটা বোঝাতে পারলেই আপনি কোনো ব্যাংক থেকে টাকা ধার পেতে পারেন।
১০. যদি তোমার মনে হয় যে তুমি বেঁচে আছ নাকি মরে গেছ, তা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই, তাহলে এক-দুই মাস বাড়ি ভাড়া দেওয়ার কথা ভুলে গিয়ে দেখ।
১১. ভাবতে ভাবতে ক্লান্ত হয়ে পড়লেই কেবল আমরা উপসংহারে পৌঁছাই।
১২. কখনো কোনো পরিস্থিতিতেই ঘুমের ওষুধ আর জোলাপ একসঙ্গে খাবেন না।
১৩. সন্ধ্যার খবর শুরু করা হয় "শুভ সন্ধ্যা" বলে। এরপর একে একে বলা হয় সন্ধ্যাটি কেন শুভ নয়।
১৪. যদি বলো আকাশে চার বিলিয়ন তারা আছে, তাহলে না গুনেই সবাই সেটা বিশ্বাস করবে। কিন্তু যদি বলা হয়, মাত্র রং করেছি, চেয়ারের রংটা এখনো শুকায়নি, তাহলে সবাই হাত দিয়ে দেখবে।
১৫. লক্ষ্যভেদ করতে চাইলে প্রথমে তীর ছোড়ো, তারপর যেটায় লাগে সেটাকেই লক্ষ্যবস্তু হিসেবে প্রচার করো।
১৬. সময় খুবই ভালো উপশমক, কিন্ত রূপসজ্জাকর হিসেবে খুবই খারাপ।
১৭. আতিথেয়তা এমন একটি গুণ, যার কারণে অতিথিরা ভাবে, যেন তারা নিজের বাড়িতেই আছে।
১৮. আমি কাজ খুব ভালোবাসি। কাজ আমাকে আকৃষ্ট করে। আর তাইতো আমি ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থেকে কাজের দিকে শুধু তাকিয়েই থাকি।
১৯. একজন সেলসম্যান হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি এমনভাবে আপনাকে নরকে যেতে বলবেন যে আপনি যাত্রার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবেন।
২০. একটি কার্ডের লেখা: তুমি ছাড়া জীবনটা খুবই দুঃসহ। মনে হচ্ছে, তুমি এখনো আমার সঙ্গেই আছ।
২১. সব পুরুষই বোকা, আর আমি তাদের রাজাকে বিয়ে করেছি।
২২. মৃত্যু বংশানুক্রমিক একটা ব্যাপার।
২৩. পুরুষেরা কি ঘরের কাজে সাহায্য করে?
উত্তর-করে। মেয়েরা যখন ঘর পরিষ্কার করে, তখন তারা পা তুলে বসে।
২৪. পৃথিবীতে তিন ধরনের মানুষ আছে
১. যারা গুনতে পারে।
২. যারা গুনতে পারে না।
২৫. মানুষ যতদিনে বুঝতে পারে যে তার বাবা ঠিক কথাই বলত, ততদিনে তার ছেলে বড় হয়ে তার ভুল ধরতে শুরু করে।
২৬. হে প্রভু, যদি আমার ওজন না-ই কমে, তাহলে আমার বন্ধুদের মোটা বানিয়ে দাও।
২৭. "সংক্ষেপকরণ" শব্দটি নিজে এত লম্বা কেন?
২৮. অনেক ভালোবাস? তাহলে তাজা গোলাপ ২৪ ক্যারেট সোনার ভেতর সিলমোহর করে পাঠাও।
২৯. সেদিন একটি মেয়ে আমাকে ফোন করে বলল, "চলে এস, বাড়িতে কেউ নেই।"
তার দেওয়া ঠিকানায় গিয়ে দেখি সেটি একটি পোড়োবাড়ি। সেখানে আসলেই কেউ থাকে না।
৩০. হাই! আমি ভাইরাস। আপনার মস্তিষ্কে ঢুকতে যাচ্ছি। ওয়েট! মস্তিষ্ক খুঁজছি-খুঁজছি-সরি, আপনার কোনো মস্তিষ্ক খুঁজে পাওয়া যায়নি। আমি চললাম। বাই!
৩১. বান্দরবান ঘুরে আসার পর এক বন্ধু আরেক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করল, কি রে, বান্দরবানে প্রাকৃতিক দৃশ্য কেমন দেখলি? জবাবে আরেক বন্ধু বলল, "আরে দূর, পাহাড়ের জন্য কিছুই দেখতে পারিনি।"
৩২. আলঝেইমার (কিছু মনে না থাকার রোগ) রোগ হওয়ার একটি সুবিধা আছে। রোজই আপনি নতুন নতুন বন্ধু পাবেন।
৩৩. যে লোক দুই কানে তুলা গুঁজে রাখে, তাকে কী বলা যায়?
-তাকে যা ইচ্ছা তাই বলা যায়।
৩৪. মনে করি, A হলো একটি সফল জীবন।
কারণ A=x+y+z, এখানে x=কাজ, y=খেলা, z=মুখ বন্ধ রাখা।
৩৫. প্লেনে উঠে বিমানবালাকে বললাম, "আমার একটি ব্যাগ নিউইয়র্কে, একটি ব্যাগ লস অ্যাঞ্জেলেসে এবং আরেকটি মায়ামিতে পাঠিয়ে দিন।"
মহিলা বললেন, "অসম্ভব"।
আমি বললাম, "গত সপ্তাহে আপনারা এ কাজটিই করেছেন।"
৩৬. ডাক্তার বললেন, আমি আর ছয় মাস বাঁচব। আগামী ছয় মাসে বিলের টাকা দিতে পারব না শুনে বললেন, ছয় মাস নয়, এক বছর বাঁচবেন।
৩৭. ডাক্তার বললেন, "আপনি ৬০ বছর বাঁচবেন।"
আমি বললাম, "এখনই আমার বয়স ৬০।"
ডাক্তার খুশি হয়ে বললেন, "বলেছিলাম না?"
৩৮. ভিখারি বলল, "সারা সপ্তাহ খাবারের স্বাদ পাইনি।"
উত্তর এল, "চিন্তা কোরো না, খাবারের স্বাদ এখনো আগের মতোই আছে।'"
৩৯. ছেলে: বাবা, ইডিয়ট কাকে বলে?
বাবা: ইডিয়ট হলো সেই সব বোকা ব্যক্তি যারা নিজেদের বক্তব্য এত বেশি প্রলম্বিত করে যে কেউ তার কথা বুঝতে পারে না। বুঝতে পেরেছ?
ছেলে: না।
৪০. একজন এসে পুলিশকে জিজ্ঞেস করলেন, "আমি কি এখানে গাড়িটা পার্ক করতে পারি?"
=না
=তাহলে এই গাড়িগুলো এখানে কেন?
=তারা কেউ এখানে গাড়ি পার্ক করতে পারবে কি না জিজ্ঞেস করেনি।
৪১. যে চিন্তাশক্তি দিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করা হয়, সেই একই চিন্তাশক্তি দিয়ে তা সমাধান করা যায় না।
৪২. আমি ৪৯ বছর ধরে একজন নারীকেই ভালোবাসছি। আমার স্ত্রী জানতে পারলে অবশ্য আমাকে খুন করবে।
৪৩. আমাদের বিয়েটা টিকে থাকার একটি রহস্য আছে। আমি আর আমার স্ত্রী সপ্তাহে দুই দিন রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভালো খাবার খাই আর ওয়াইন পান করি। আমি সোমবারে যাই আর আমার স্ত্রী যায় মঙ্গলবারে।
৪৪. ব্রেকফাস্টের আগে যে জিনিস দুটো কখনোই খাওয়া সম্ভব নয়, সেগুলো হলো লাঞ্চ আর সাপার।
৪৫. তুমি একটা ইলেকট্রিক ব্লেন্ডার, একটা ইলেকট্রিক টোস্টার এবং একটা ইলেকট্রিক ব্রেড মেকার কিনে বললে, "ওফ! বাসায় এত জিনিস! আমি বসব কোথায়?"
পরদিন আমি একটা ইলেকট্রিক চেয়ার কিনে আনলাম।
৪৬. এক বিশালদেহী লোক আমাকে বলল, "আমি ১০ ডলার বাজি ধরে বলতে পারি যে তুই মারা গেছিস।"
আমি তার সঙ্গে বাজি ধরতে সাহস পেলাম না।
৪৭. হাতুড়ির সবচেয়ে নিরাপদ ব্যবহার হলো, পেরেকটা অন্য কাউকে ধরতে দেওয়া।
৪৮. আমি আমার স্ত্রীকে বললাম, "স্বামী হলো ওয়াইনের মতো, যত পুরোনো ততই ভালো।" পরদিন সে আমাকে সেলারে আটকে রাখল।
৪৯. প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত সমালোচনা আছে।
৫০. বাড়ির কাজ না আনার সবচেয়ে খারাপ অজুহাত হলো-আমি দেখে লেখার মতো কাউকে পাইনি।
৫১. আলোর বেগ তো সবাই জানে। অন্ধকারের বেগ কত?
৫২. যদি প্রথমবারে সফল না হও, তাহলে স্কাইডাইভিং তোমার কর্ম নয়।
৫৩. খবর: আত্মঘাতী এক লোক ভুল করে তার যমজ ভাইকে খুন করে ফেলেছে।
৫৪. স্ত্রীদের সঙ্গে তর্কের দুটি নিয়ম আছে। কোনোটিই কার্যকরী নয়।
৫৫. এক লোক লটারি জিতে টিকিট পেয়ে চীনে বেড়াতে গেছেন। এখন তিনি চীনেই আছেন। আরেকটি লটারির টিকিট জিতে দেশে ফিরতে চান।
৫৬. ধরুন, কোনো ব্যক্তি দুর্ঘটনায় তাঁর শরীরের বাঁ-পাশ পুরোটাই হারিয়েছেন। এখন তাঁর কী হবে?
-তিনি এখন -অল রাইট????????????
৫৭. ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সন্ধ্যায়ও কাজ করেন কেন? উত্তর: আরে, উনি তো পি.এম, এ এম নন।
৫৮. স্কুলে একজন বোকাকে কীভাবে চেনা যায়?
-শিক্ষক যখন বোর্ড মোছেন, সে তখন তার সব ক্লাসনোট কেটে দেয়।
৫৯. মা এবং স্ত্রীর মধ্যে পার্থক্য কী?
-একজনের কারণে তুমি কাঁদতে কাঁদতে পৃথিবীতে এসেছিলে, অন্যজনের কারণে তুমি সারা জীবন কাঁদবে।
৬০. স্ত্রী ও চুম্বকের মধ্যে পার্থক্য কী?
-চুম্বকের একটি পজিটিভ দিক আছে।
৬১. জনসংখ্যার বিস্ফোরণ বিষয়ে পড়াতে গিয়ে এক শিক্ষক বললেন, "আমাদের দেশে প্রতি ১০ সেকেন্ডে একজন মহিলা একটি করে শিশুর জন্ম দেন।"
এক ছাত্র চিত্কার করে উঠল,"জলদি চল, তাঁকে খুঁজে বের করে এক্ষুনি থামাতে হবে।"
৬২. বাচ্চা ছেলে হবে না মেয়ে হবে তা জানার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো তার জন্ম পর্যন্ত অপেক্ষা করা।
৬৩. ৩৫-এর পর আমার কি আর বাচ্চা নেওয়া ঠিক হবে?
-না। ৩৫টা বাচ্চাই যথেষ্ট।
৬৪. পৃথিবীর স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একটি পজিটিভ দিক বলুন।
-এইচ আই ভি।
৬৫. দুজন কম্পিউটার প্রোগ্রামার একসঙ্গে কীভাবে বড়লোক হতে পারে?
-একজন ভাইরাস লিখে, অন্যজন অ্যান্টিভাইরাস লিখে।
৬৬. গণিতের একটা বই আরেকটা বইকে কী বলে?
-তোমার কথা জানি না, কিন্তু আমার ভেতরটা সমস্যায় ভর্তি।
৬৭. আপনার স্ত্রী ড্রাইভিং শিখতে চাইলে তাঁর পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না।
৬৮. এক ব্যক্তি মনোচিকিত্সকের কাছে গিয়ে বলল,"কেউ আমার কথা শোনে না" মনোচিকিত্সক সঙ্গে সঙ্গে বললেন, "নেক্সট"।
৬৯. লোকটি এতই মোটা যে সে ছবি প্রিন্ট করে না, পোস্টার ছাপায়।
৭০. দুজন ড্রাইভার ট্রাক চালাচ্ছিল।
১ম ড্রাইভার: হায়। ব্রিজটা ২ দশমিক ৭ মিটার উঁচু আর আমাদের ট্রাকটা ৩ মিটার।
২য় ড্রাইভার: যা দোস্ত, কোনো সমস্যা নেই। আশপাশে কোনো পুলিশ নেই।
৭১. মেকানিক্যাল আর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের মধ্যে পার্থক্য কী?
-মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার অস্ত্র বানায় আর সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বানায় অস্ত্রের টার্গেট।
৭২. আমার স্ত্রী গতরাতে বলছিল, আমি নাকি তার কোনো কথাই মন দিয়ে শুনি না"নাকি"এ রকমই কিছু একটা- ঠিক মনে পড়ছে না।
৭৩. গতরাতে স্বপ্নে দেখলাম, আমি ১০ পাউন্ড ওজনের একটা হটডগ খাচ্ছি। সকালে উঠে দেখি আমার কোলবালিশটা নেই।
৭৪. টিচার: তোমার বাবা তোমাকে বাড়ির কাজ করতে সাহায্য করেছেন?
ছাত্র: না। পুরোটাই উনি করেছেন।
৭৫. সব বিয়েই সুখের। পরবর্তী সময়ে একসঙ্গে থাকতে গিয়েই যত ঝামেলা শুরু হয়।
৭৬. অনেকেই চোখের বদলে মাথার ওপর চশমা পরে কেন? উত্তর: যার যেটা নষ্ট সে সেখানেই চশমা পরে।
৭৭. গত সপ্তাহে আমার সাইকিয়াট্রিস্টকে বললাম, �আমি আজকাল শুধু আত্মহত্যা করার কথা ভাবি।� শুনে তিনি বললেন, �এখন থেকে অগ্রিম ফি নিয়ে আসবেন।�
৭৮. আমি অনেক বছর ধরে আমার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলিনি। আমি তার বক্তব্যে বাধা দিতে চাইনি।
৭৯. ব্যাচেলররা বৈবাহিক জীবন সম্পর্কে বিবাহিতদের চেয়ে বেশি জানে, নইলে তারাও বিবাহিত হতো।
৮০. উড়োজাহাজের পেছনের সারিতে বসার কারণ দুটি। এক. হয় আপনি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। দুই. আপনি আক্রান্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে পরিচিত হতে চান।
৮১. অভিজ্ঞতা যে কোনো কাজে লাগে না তার প্রমাণ হলো, মানুষ একটা প্রেম শেষ হওয়ার পরও আরেকবার প্রেমে পড়ে।
৮২. তিনি খুব অল্প কথার মানুষ। তাই না?
�হ্যাঁ, সারা সকাল ধরে সেই কথাটাই তিনি বোঝালেন।
৮৩. একটি চালাক ছেলে তার পছন্দের মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিল এভাবে�সে মেয়েটিকে নিয়ে নৌকায় উঠল। নৌকাটি মাঝনদীতে যাওয়ার পর মেয়েটিকে বলল, �তুমি যদি আমার প্রস্তাবে রাজি না হও তাহলে এক্ষুনি নৌকা ছেড়ে চলে যাও।�
৮৪. একটি পরিচ্ছন্ন ডেস্ক একটি এলোমেলো ড্রয়ারের প্রতীক।
৮৫. স্বামীর কাছে আরও বেশি স্বাধীনতা দাবি করায় স্বামী মিস্ত্রি ডেকে রান্নাঘরটা বড় করে দিলেন।
৮৬. একটা ফোন এল ৭৭৭৭৭৭৭৭ নম্বরে, �হ্যালো, এটা কি ৭৭৭৭৭৭৭৭? প্লিজ, আমাকে একটা ডাক্তার ডেকে দিন না। আমার আঙুল ফোনের ডায়ালে আটকে গেছে।�
৮৭. দোকানদারের কাছে অদৃশ্য কালি চাইতেই দোকানদার বলল, �কী রঙের দেব বলুন।�
৮৮. উনি এত কৃপণ যে চিনির কৌটায় কাঁটাচামচ ব্যবহার করেন।
৮৯. পেটে প্যাঁচঅলা এক লোক ভুলে পেরেক খেয়ে ফেলায় সেটি স্ক্রু হয়ে বেরিয়েছিল।
৯০. ভোট অন্যতম নাগরিক অধিকার, যা প্রয়োগে অধিকাংশ সময়েই নাগরিকদের কোনো অধিকার অর্জিত হয় না।
৯১. ছেলে: মা, রূপকথার গল্প সব সময় �এক দেশে ছিল এক� দিয়ে শুরু হয় কেন?
মা: না, সব সময় না। মাঝে-মধ্যে অফিসের কাজে আটকে গেছি, আজ ফিরতে একটু রাত হবে দিয়েও শুরু হয়।
৯২. রেস্তোরাঁর মালিক: ওয়েটার, আজ খদ্দেরদের সঙ্গে একটু ভালো ব্যবহার করবে, কারণ আজকের ভাতের তলা ধরে গেছে, পোড়া গন্ধ।
৯৩. আমি সব সময় ওর হাত ধরে থাকি। কারণ, হাত ছাড়লেই সে কেনাকাটা করতে যায়।
৯৪. আমাদের বাসার রান্নাঘরটা এত ছোট যে ওখানে কনডেন্সড মিল্ক খেতে হয় আমাদের! এমনি দুধ খাওয়া যায় না।
৯৫. এক তরুণ রাস্তায় এক তরুণীর পথ রোধ করে বলল, কিছু মনে করবেন না। আমি একটা টেলিফোন ডিরেক্টরি লিখছি, আপনার নম্বরটা যদি দয়া করে দিতেন�।
৯৬. রাজনীতির প্রথম কথা হচ্ছে, রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
৯৭. বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জনৈক নেতা মাত্র চার ঘণ্টার জন্য অনশন পালন করেন। তাঁর অনশন শুরু হয়েছিল সকালে নাশতা খাওয়ার পর এবং অনশন ভাঙেন মধ্যাহ্নভোজনের আগে আগে।
৯৮. আপনার একটি ফোন থাকলে সেটি প্রয়োজনীয়তা, দুটি ফোন থাকলে সেটি বিলাসিতা, আর কোনো ফোনই যদি না থাকে তাহলে আপনি স্বর্গে বসবাস করছেন।
৯৯. নির্বাচন হচ্ছে গণতান্ত্রিক-ব্যবস্থার একটি চমত্কার উদার দিক, যেখানে সবাই মিলে ঠিক করে কে কে তাদের শোষণ করবে।
১০০. কারচুপি একটি প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক শব্দ, পরাজিত দলের ভাষ্যমতে যা স্থূল ও সূক্ষ্মরূপে জয়ী দল করে থাকে।
Wednesday, May 26, 2010
Friday, May 21, 2010
Discount offer for buing PTC Script from newbuxhost.com
Do you want to start your own PTC business?
You do not have to have any technical knowledge to operate your business. we offer OneStop PTC script with license,domain registration,installation,webhosting and technical support which will come in a package.
What They offer
PTC Script - Our PTC script a high quality prebuild PTC bux site with modern web 2.0 technologies, including your own forum. | ||
| ||
WebHosting - PTC script will be hosted on one of our powerful servers. All servers are fully DDoS protected. For more information just visit : http://newbuxhost.com |
Tuesday, May 18, 2010
Start your own PTC business without any technical knowledge.
No more click for earning online. People will click, People will pay you. Just start your PTC business today using our OneStop PTC script. You need nor require any technical knowledge to operate it.A brand new OneStop PTC script has been developed by www.newbuxhost.com Now you can start your own home based online business from any time without any difficulties. Just start your PTC business by hosting your OneStop PTC script at newbuxhost.com and earn money online using your bux business. The main idea is, Publisher will pay you for viewing their website and you will give a partial money of that to your visitor who click and visit publisher website. After giving money to your visitors the extra money is your profit. Thus you can start your own BUX ( PTC ) business and earn money online easily. Just visit www.newbuxhost.com
Sunday, March 28, 2010
‘আইটি ক্যাডার’ বিহীন ডিজিটাল বাংলাদেশ...
আব্ধুল্লাহ-আল-মামুন
published at:
http://www.somewhereinblog.net/blog/quantumscience/29124947
http://quantumscience.amarblog.com//posts/102597/
Sunday, March 7, 2010
আমার নিস্পাপ তুমি...(Kobita)
আমার নিস্পাপ তুমি...
আব্দুল্লাহ-আল-মামুন
একবার তুমি নীল শাড়ী পরে,
মেঘ দেখতে এসেছিল।
আমি নীল পরী ভেবে ভুল করেছিলাম।
মুহুর্তেই আমার বুকে জমাট বাঁধা নীল কষ্টগুলো
উড়ে গিয়েছিল তোমার নীল আঁচলের
আবেগী বাতাসে।
নীলা তোমার মনে আছে? একদিন তুমি
সাদা শাড়ী পরে,
আমার সাথে পুর্ণিমা দেখতে বেরিয়েছিলে।
বিশ্বাস কর, আমি একটি বারের জন্যেও
ঐ চাঁদের দিকে
মুখ তুলে তাকায় নি,
আমার তাকানোর প্রয়োজন পড়েনি।
সেদিন আমি তোমায়
চাঁদ ভেবে ভুল করি নি নীলা,
কারণ আমি জানি চাঁদ কলংকিত
কিন্তু আমার তুমি, নিস্পাপ, মহা পবিত্র।
পহেলা ফাল্গুন। টি.এস.সি তে বসে কবিতা পড়ছি,
আর তোমার জন্যে অপেক্ষা করছি।
হঠাৎ হলুদ শাড়ী পরা তোমাকে দেখলাম,
শান্ত, নিশ্চিন্ত ভঙ্গিতে আমার দিকে আসছ।
মুহুর্তে আমি আমার হলুদ পাখিটিকে নিয়ে
হারিয়ে গিয়েছিলাম দূর অজানায়।
তুমি এসে গায়ে হাত দিয়ে ডাকলে,
আমি আবার ফিরে এলাম
আমার প্রাণপ্রিয়, আদুরে পাখিটির কাছে।
জানো নীলা, সেদিন আমি তোমায়
হলুদ পাখি ভেবে ভুল করি নি।
ঐ দিগন্ত বিস্তৃত খোলা আকাশ,
চিৎকার করে ডেকে বলেছিল,
আসো, আমার বুকে ডানা ঝাপটাও,
উড়ো, আমাকে ধন্য কর।
কিন্তু তুমি ঐ ঈর্ষাপরায়ণ আকাশকে নয়
আমাকে ধন্য করেছিলে।
“নীলা শোনো, লাল শাড়ীতে তোমাকে
দারুন মানায়, যেন এক
প্রস্ফুটিত নিস্পাপ গোলাপ।”-একবার তোমাকে
ডেকে বলেছিলাম। তুমি
শুধু হেসেছিলে কিন্তু অবাকও হয়েছিলে
যখন এক হাজার একটা তাজা গোলাপ,
আমার গোলাপের পায়ের নিচে সঁপে দিয়েছিলাম।
বিশ্ব বিধাতা নিজ হাতে তোমায় সূষ্টি করেছেন
প্রকূতির সমস্ত সৌন্দর্যকে লজ্জা দিতে,
আর তাইতো ঐ কলংকিত চাঁদ
আমার নিস্কলংক তোমাকে দেখে মেঘের আড়ালে লুকোয়,
বাগানের ঐ ফুল লজ্জায় ঝড়ে যায়।
বিধাতা আমায় করুণা করে তোমাকে দান করেছেন।
বিধাতার কাছে আমার জীবনের শেষ চাওয়া,
এ দান যেন আমার জীবন দিয়ে হলেও
অক্ষত রাখতে পারি।
Saturday, January 30, 2010
রোবট বন্ধু
রোবট বন্ধু
আব্ধুল্লাহ-আল-মামুন
সেলুলয়েডের জানালার পাশে আধা শোয়া হয়ে, মাথায় লাগানো “রিক্রিয়েশন মেশিন” টার রিমোট হাতে, ইমোশোনাল মুড, দ্রুত পরিবর্তন করে চলেছে ১৮ বছর বয়সি ম্যাক। একবার স্নেহ, একবার ভালবাসা পরক্ষনেই আবার রোমান্স মুড, কোনটাতেই যেন শান্তি পাচ্ছে না ম্যাক। সবগুলা মুডই তার কাছে কৃত্তিম মনে হচ্ছে, সবগুলাতেই তার মনে হচ্ছে কি যেন নেই। শুরু থেকেই এই যন্ত্রটা তার কখনই ভালো লাগে নাই। বহুবার সে যন্ত্রটা মাথা থেকে টেনে খুলে ফেলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু প্রতিবারই পরিচারিকা রোবট বাধা দিয়ে বলেছে, এটা খুলে ফেলা রাষ্ট্রিয় আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। এটা নাকি এই শতকের শ্রেষ্ঠ আবিস্কার, এটা দিয়ে যেমন ইচ্ছা অনুভুতি নেয়া যায়।কিন্তু এই কৃত্তিম অনুভুতিতে ম্যাক হাফিয়ে উঠেছে।তার অসহ্য লাগে। রিমোট টা রেখে সামনের দেয়াল জুড়ে থাকা অতি আধুনিক কম্পিউটারের মনিটরের দিকে তাকাল। মুখে চ্যাট করার কমান্ড উচ্চারণ করতেই মুহুর্তেই তার ফেস ডিটেক্ট করে অথেন্টিকেশন সম্পন্ন করল কম্পিউটরটি এবং সে থ্রী ডি দেয়ালে দেখতে পেল থোকায় থোকায় মানুষ বসে গল্প করছে। কেউ কেউ আবার উত্তাল সমুদ্রের নিচ দিয়ে পাশাপাশি হেটে বেরাচ্ছে আর গল্প করছে।কেউ আবার আকাশে উড়ছে দল বেধে।ম্যাক বিশাল মনিটর এর সামনে রাখা ইনপুট প্যাডের উপর যেয়ে দাড়াল। এর পর হাটা শুরু করল।সবাই বসে গল্প করছে,কিম্বা ভার্চুয়াল প্রকৃতি উপভোগ করছে। সবাই যেন ব্যাস্ত।এই ভার্চুয়াল জীবনেও কারো যেন এক চিলতে সময় নাই।ম্যাকের গল্প করার জন্য কাউকে ডাকতে ইচছা করছে না। সে একটা ঝর্ণার পাশে গিয়ে একা একা বসল। ম্যাক এই ঝর্ণাটাকে খুব ভালবাসে। যদিও এটা কৃত্তিম,থ্রি ডি দেয়ালে আলো আধারের খেলা ছাড়া আর কিছুই না। তবুও ম্যাক এর এই ঝর্ণাটাকে খুব ভাল লাগে। মাঝে মাঝেই সে চ্যাট রুমে এসে এই খানে বসে একা একা, উদ্দেশ্যহীনভাবে তাকিয়ে থাকে ঝর্ণার দিকে।
“হ্যালো,আপনার পাশে একটু বসতে পারি”-একটা মেয়েলী কন্ঠ শুনতে পেল ম্যাক। ঘুরে তাকাতেই দেখে একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। “নিশ্চয়,প্লীজ”- বসার জন্যে ইশারা করল ম্যাক। মেয়েটা বসতে বসতে বলল,এই ঝর্ণাটার সফটয়্যার আরকিটেক্ট আমার মামা হন, ওনি বলছিলেন, ওনি নাকি বিংশ শতাব্দির একজন পরিচালক এর তৈরি করা একটি ডকুমেন্টারি তে, একটা বাস্তব ঝর্ণার বিবরণ দেখে এইটা ডিজাইন করেছিলেন। তার মানে এই রকম কিম্বা এর কাছাকাছি একটা আসল ঝর্ণা পৃথিবীতে ছিল-ম্যাক খুব আগ্রহ নিয়ে বলল। হমম, মেয়েটা হ্যা সুচক মাথা নাড়াল।ম্যাক বলল, এই কৃত্তিম ঝর্ণাটাই এত্ত সুন্দর, তাহলে, পৃথিবীর আসল ঝর্ণাটা কতই না সুন্দর ছিল!মেয়েটা বলল, আমার মামা আনেক ডকুমেন্টারি দেখেন,উনি বলেন, আগেকার কবিদের কবিতা কিম্বা অনলাইনে লেখা ব্লগগুলোর ডকুমেন্টারি দেখলে নাকি বোঝা যায়, পৃথিবী আসলে কত্ত অপরুপ ছিল।মেয়েটা বলল,আহা!এই যে, আপনার সাথে পরিচিত না হয়ে শুধু শুধু বকবক করছি। আমি কার্টার, ক্লাস ২০ পর্যন্ত একাডেমিক জ্ঞান ব্রেন এ কপি করেছি, এখন ক্লাস ২১ এর টা কপি করার প্রস্তুতি নিচ্ছি, থাকি এলেঙ্গা,চাঁদ এ।ওপ, আমি ম্যাক, ক্লাস ২৫ কপি করে আর ইচ্ছা করে না এখন এমনি বসে থাকি। আর বাসা জিনেদিন,পৃথিবী তে। হুমম, আর কপি করতে ইচ্ছা করে না কেন?-কার্টার জানতে চাইল।ম্যাক বিরক্তি সরে বলল-এইগুলা কপি করার মধ্যে আমি কোনো কৃতিত্ব দেখি না, শুধু শুধু কপি করার আগে ও পরে ৩ মাস হিমাগারে শুয়ে থাকতে হয়। আর আমার রিসার্স কিম্বা মহাকাশে অভিযানে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নাই, আর পৃথিবীতে সব কাজ করার জন্যে ওই বোকা রোবটগুলা তো আছেই। তাই এই জ্ঞান কপি করার আমি দরকার মনে করি না। কিন্তু এই রোবটগুলা অন্তত কন্ট্রোল করার জন্যে কিম্বা এদের আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্যে তো আন্তত তোমার এই বিদ্যা জানা দরকার-কার্টার বলল। ম্যাক বলল, আররে এইসব চিন্তা করার জন্যে রাষ্ট্র আছে, রোবট ডাক্তার আছে।কার্টার-সব ঠিক আছে কিন্তু মাঝখানে যে হয়রানি হবে তোমার, বার বার ইনস্টান্ট মেসেজিং, ভিডিও কনফেরেন্সিং সেটা তে টাইম লস,তাই না?ম্যাক এবার হা হা করে হেসে উঠল এবং বলল, আররে, টাইম সেভ করেই কি করব বল, সারাদিন “রিক্রিয়েশন মেশিন” এর রিমোট টিপে আর চ্যাট করেই তো কাটাতে হয়। এর চাইতে বরং ওইটা হয়রানি হলেও তো আন্তত কাজ মানে বিজি থাকা যায় (দু জনেই হেসে উঠল।) আচ্ছা ম্যাক, তোমার সাথে পরিচিত হয়ে ভাল লাগল, আমাকে যেতে হবে, মামা ভিডিও কনফারেন্সিং ইনভাইটেশন পাঠিয়েছেন।ওক কার্টার, ভাল থাক, পরে দেখা হবে। মুহুর্তে অদৃশ্য হয়ে গেল কার্টার।
“ফ্রিকোয়েন্সী আর্কাইভ” যন্ত্রটা হাতে নিয়ে ম্যাক বিংশ শতকের মানুষের, কথা শোনার চেষ্টা করছে।এই যন্ত্রটা তার কাছে অদ্ভুত লাগে।অক্ষাংশ,দ্রাঘিমাংশ আর তারিখ ও সময় দিয়ে দিলে ঐ সময়ে ঐ স্থানে ঘটে যাওয়া ঘটনার বহু পুরোনো কথা শোনা যায়।শক্তির ক্ষয় নেই, একে শুধু এক শক্তি থেকে অন্য শক্তিতে রুপান্তর করা যায়।শক্তির এই নিত্যতার সুত্রের আর একটা বাস্তব প্রতিফলন অতি আধুনিক এই যন্ত্রটি।শুন্যে জমে থাকা বহু পুরোনো শব্দশক্তিকে সময় আর স্থানে ইনডেক্স করে শুন্যতেই রেখে দেয়া হয়েছে। এই যন্ত্রটি সেই বিশাল ভান্ডার থেকে ইনডেক্স অনুসারে শোনাতে পারে একটা নির্দিষ্ট স্থানের নির্দিষ্ট সময়ে ঘটে যাওয়া শব্দ।ম্যাক মুগ্ধ হয়ে পুরোনো মানুষের কথা শোনে, সে এই কথা শুনে শান্তি পায়।ঐ মানুষ গুলোকে তার খুব আপন মনে হয়। নিজেকে তাদের বংশধর মনে করে সে উত্তফুল্ল হয়। ম্যাক এই যন্ত্র দিয়েই খুজে পেয়েছে তার আরো একটা প্রিয় ঘটনা এবং তা হচ্ছে ৮৯ ডিগ্রি অক্ষাংশ আর ৯৬ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশে, ২০০৯ সালের ডিসেম্বরের ৩১ তারিখে ঘটে যাওয়া কিছু প্রাণচ্ছল যুবকের প্রাণবন্ত আড্ডা।ঐ দিনকে ওরা থার্টি ফার্স্ট নাইট বলে।কিছু যুবক, খুব প্রাণচ্ছল কন্ঠে আড্ডা মেরে যাচ্ছে।ম্যাক তাদের সব ভাষাই বুঝতে পারে কারণ, যন্ত্রটির সাথে যে ভয়েস ইন্টারপ্রেটর লাগানো আছে, সেটা সব ভাষাকেই ম্যাক এর ভাষায় পরিবর্তন করে দেয়। ম্যাক তাদের আড্ডা মুগ্ধ হয়ে শোনে আর ভাবে,ইশ! বিংশ শতকে যদি আমি থাকতাম! কি সুন্দর,যৌবন উদ্দিপ্ত আড্ডা,নিস্পাপ,নির্সাথ বন্ধুত্ব। কোনো যান্ত্রিকতা কিম্বা অসহ্য রোবট গুলার যান্ত্রিক কন্ঠের প্যানপ্যানানি নেই।মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করা যায়, মানুষের সাথে ঘুরে বেড়ানো যায়-আড্ডা মারা যায়। ম্যাক এর ভাবনার ছেদ পড়ল, চ্যাট ইনভাইটেশনের একটা নটিফিকেশন এলার্টে। স্ক্রিনে কার্টার এর ছবি দেখা যাচ্ছে, সে ম্যাক কে ডাকছে চ্যাট রুমে।ম্যাক “ফ্রিকোয়েন্সী আর্কাইভ” যন্ত্রটা বন্ধ করে কার্টারের ইনভাইটেশন গ্রহন করল।
শুভ অপরাহ্ন ম্যাক,কেমন আছো-খুব উত্তসাহ নিয়ে কার্টার জিজ্জেস করল। রোবট আর এত্ত যন্ত্র আমার ভালো লাগে না, অস্থির লাগে, মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করতে ইচ্ছা করে, একটা মানুষের পাশাপাশি হাটতে ইচ্ছা করে। কার্টার তুমি আমার বন্ধু হবে?-এক নিংশ্বাসে বলল ম্যাক। নিশ্চয় ম্যাক। তোমাকে বন্ধু বানাতে পেরে আমি সুখ অনুভব করছি-রোবটিক সুরে কার্টার জবাব দিল। দেখ কার্টার, আমি রোবটদের ঘৃনা করি, তুমি রোবোটদের, প্লীজ অনুকরণ করবা না। আদেশের সুরে ম্যাক বলল।দুজনেই চুপ হয়ে গেল।কিছুক্ষণ চুপ থাকার পর, ম্যাক শান্ত কন্ঠে নিরবতা ভাঙ্গল, কার্টার ভার্চুয়াল লাইফ,রোবট আর যান্ত্রিকতায় আমি হাফিয়ে উঠেছি। রোবট ফ্রেন্ডগুলা আমার অসহ্য লাগে, আর এই চ্যাট রুমে মানুষের মত দেখতে অসংখ রোবট আছে, দেখে বোঝার উপায় নাই, কিন্তু কথা বললে বোঝা যায়,ওরা আসলে মানুষ না,রোবট।যদিও ওরা খুবই বুদ্ধিমান এবং মানুষকে আনন্দ দিতে পারে, কিন্তু একটা যন্ত্রকে আমার বন্ধু ভাবতে খারাপ লাগে। জানো কার্টার আমি বহুদিন পর তোমার সাথে মানে কোনো মানুষের সাথে কথা বললাম।খুব আবেগ ঘন কন্ঠে ম্যাক কথাগুলো বলল। কার্টার ম্যাক এর আবেগকে বুঝতে পারল, সে ও ম্যাক এর জন্যে একটু কষ্ট অনুভব করল। মুখে বলল, ম্যাক এখন আমি আছি না, আর তোমাকে রোবটদের সাথে বন্ধুত্ব করতে হবে না। আমি আর তুমি মিলে সারাক্ষণ আড্ডা মারব,ঘুরে বেড়াব। ঠিক আছে? সত্যি বলছ কার্টার-ম্যাক কার্টারের দিকে তাকিয়ে চিতকার করে বলল। হ্যা ম্যাক, তুমি প্রতিদিন সুর্যমান সময় ১৭ টাই আমাদের প্রিয় ঐ ঝর্ণাটার কাছে আসবা,আমিও আসব।আমরা খুব মজা করে আড্ডা মারব,ঘুরে বেড়াব, ঝর্ণা দেখব।ম্যাক একটু ব্যাথিত হল, সে ধীরে ধীরে বলল, আবার ভার্চুয়াল লাইফ, ভার্চুয়াল কন্ঠ, ভার্চুয়াল আড্ডা! তাহলে রোবট আর তোমার মধ্যে পার্থক্য কি হল।ও ম্যাক, ওক, তুমি বল,তুমি কি চাচ্ছ?ম্যাক বলল-তুমি শুনবে আমার কথা? ম্যাক আমি তোমাকে বন্ধু মেনে নিয়েছি, খুব কাছের একজন বন্ধু,তুমি বল আমাকে কি করতে হবে?-আন্তরিকতার সাথে কার্টার কথাগুলো বলল।এ কথা শুনে ম্যাক এর চোখ জ্বল জ্বল করে উঠল,সে খুব তড়িঘড়ি বলল – কার্টার আমি তোমার সাথে বাস্তবে দেখা করতে চাই, বাস্তবে আড্ডা মারতে ঘুরে বেড়াতে চাই, ভার্চুয়াল জগতে না।কার্টর বলল, ঠিক আছে, তুমি তাহলে চাঁদে চলে আস, আমাদের এখানে একটা বিশাল সুইমিং পুল আছে, চাদে মানুষ যখন প্রথম বসবাসের জন্যে আসে তখন তারা স্নান করার জন্যে নাকি এটা তৈরি করেছিল।খুব সুন্দর!ওইখানে বসে আমরা আড্ডা দিব।ম্যাক খুব উতসাহ নিয়ে বলে, হ্যাঁ আমি ও ঐটার একটা ডকুমেন্টারি দেখেছি, খুব সুন্দর। খুব মজা হবে।কার্টার বলল- ওক ম্যাক,তাহলে কখন আসবা? ম্যাক বলল, এখন সুর্যমান সময় ৪৫, আমার এখান থেকে সুর্যমান সময় ৬৯ এ একটা এয়ার বাস ছাড়বে চাঁদের উদ্দেশ্যে,আমি ঐটাতে রওয়ানা দিব। ওক ম্যাক আমি তোমার জন্যে অপেক্ষা করব। ঠিক আছে কার্টার তাহলে এখন বিদায়, দেখা হবে। ভাল থাক।ওক ম্যাক সী ইউ।
ম্যাক তার ড্রাইভার রোবটকে গাড়ী বের করতে বলে বাথরুমে ঢুকল।বাথরুমে ঢোকা মাত্র তার সমস্ত শরীর স্ক্যান করে সেন্ট্রাল হেলথ কম্পিউটারে মুহুর্তের মধ্যে সয়ংক্রিয়ভাবে পাঠিয়ে দেয়া হল তার রিপোর্ট।এক মুহুর্ত পর বাথরুমের দেয়াল জুড়ে লাগনো স্ক্রিনে ফুটে উঠা তার শারিরীক রিপোর্টের একটা এলার্ট ম্যাকের দৃষ্টি আকর্ষণ করল। একটা লাল এলার্ট মেসেজ জ্বলছে নিভছে।তাতে লেখা,”মিঃ ম্যাক, আপনার হার্ট স্বাভাবিকের চেয়ে ১০% বেশি দ্রুত কাজ করছে এবং ব্রেন স্বাভাবকের চেয়ে ০.৯৯১৯ গুন দুশ্চিন্তা গ্রস্ত-যা আপনার স্বাস্থের জন্য ০.০১৮৯% ঝুকিপুর্ণ।আপনার ঘুমের প্রয়োজন ১৭% এবং এই মুহুর্তে ভ্রমন করলে হার্ট ফেইল হওয়ার ১২.৫৯৪৮% সম্ভাবনা আছে।পরামর্শগুলো মেনে চলার জন্য ধন্যবাদ।”—উউফফ ম্যাকের এই টাইপের ন্যাকামিগুলো অসহ্য লাগে।কিন্তু প্রত্যেক বাথরুমে এই স্বয়ংক্রিয় হেলথ চেক যন্ত্র বসানো রাষ্ট্রিয় আইন অনুসারে বাধ্যতামুলক। ম্যাক চোখে-মুখে পানি দেয়ার জন্যে বাথরুমে ঢুকেছিল।সে বিরক্ত হয়ে দ্রুত বাথরুম থেকে বের হয়ে দ্রুত পায়ে বাসার সামনে গেল। একটা রোবট গাড়ী নিয়ে দাড়িয়ে আছে।ম্যাককে আসতে দেখে সে গাড়ীর দরজা খুলে ধরে তার যান্ত্রিক কন্ঠে বলল,”আপনার যাত্রা শুভ হোক,স্যার”। ম্যাক গাড়ীতে চেপে বসল।১মিঃ ৪৫ সেঃ এর মাথায় ৮৯ কিঃমিঃ পথ অতিক্রম করে ম্যাক রকেট বন্দরে এসে পৌছল। রকেট এ উঠার জন্য দরজার সামনে যেতেই তার সমস্ত শরীর স্ক্যান করে, স্বাস্থ্য পরীক্ষা, সিকিউরিটি চেক এবং অথেনটিকেশন মুহুর্তের মধ্যে সম্পন্ন করে রকেটের অদৃশ্য দরজাটি খুলে গেল।ম্যাক ধীর পায়ে রকেটের মাঝামাঝি একটা জায়গায়, বিশাল আকৃতির এক জানালার কাছে যেয়ে তার আসন গ্রহণ করল।ম্যাকের রকেট থেকে জানালা দিয়ে তাকিয়ে থাকতে খুব ভাল লাগে। রকেটের জানালা দিয়ে আকাশ দেখার জন্যে এর আগে সে বহুবার বিনা কারণে চাদে গেছে। আজকে ও তাই জানালার পাশে বসার সুযোগটা সে ছাড়তে চাই নি।৫ সেঃ ৩ মুহুর্ত পর রকেটটি চাঁদের উদ্দেশ্যে রওনা দিল।ম্যাক জানালা দিয়ে আকাশ আর মেঘের লুকোচুরি দেখতে দেখতে পৃথিবীর মহাকর্ষণ শক্তির মায়া কাটিয়ে, বায়ুমণ্ডল ছাড়িয়ে চাঁদের দিকে যেতে থাকল। এই চাঁদে যাওয়ার যানগুলা খুবই আধুনিক। এই যানে, এখন আর বিংশ শতাব্দির নভোচারীদের মত স্পেশাল পোশাক পড়তে হয় না, কিম্বা এটা কোনো বহিঃ শক্তি কিম্বা মহাকর্ষ-অভিকর্ষের বিপাকে পড়ে ধংস হবে এমন কোনো ঝুঁকি নেই। এই যান আলোর কাছাকাছি বেগ এ চলে। পৃথিবী থেকে চাঁদে যেতে মাত্র ১৫ মিঃ সময় লাগে। “সম্মানিত যাত্রী মন্ডলী,কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা চাঁদে অবতরণ করতে যাচ্ছি, আমাদের সাথে ভ্রমণ করার জন্য ধন্যবাদ।ভালো থাকুন সব সময়”- একটা রোবটিক কন্ঠে ঘোষণা হল। ঘোষণা শুনে ম্যাকের মণটা পুলকিত হল। আর কিছু মুহুর্ত পরই সে পেতে যাচ্ছে বন্ধু হিসেবে একজনে মানুষকে।ম্যাক এর আর তর সইছে না। কি কথা বলবে কার্টারের সাথে। মেয়েটি কেমন ফ্রেন্ড হবে, দেখতে কেমন সে। মেয়েটা বাস্তবে তাকে দেখে,তার কথা শুনে তার সাথে বন্ধুত্ব করতে চাইবে তো! এমন নানা ভাবনার দোলাচলে ম্যাকের মণ আনচান করছে। এই রকম বিচিত্র এক অনুভুতি নিয়ে, এক অজানা সুখের রোমাঞ্চিত আশায় চাদের বুকে পা রাখল ম্যাক।
ওয়েলকাম ম্যাক-আমরা তোমার জন্যেই অপেক্ষা করছি।ম্যাক বিস্মিত স্বরে বলল- কিন্তু আপনারা কারা, কার্টার কই? আমি তো কার্টারের কাছে এসেছি। হুম ম্যাক, তুমি ঠিকই এসেছ। কিন্তু কার্টারের ব্রেনে আরো কিছু স্বংক্রিয় বুদ্ধি এবং সেলফ গ্রোথ ইমোশন এন্ড ইন্টেলিজেন্সি বসানোর জন্যে ওকে হিমাগারে রাখা হয়েছে।তুমি অন্য রোবোটদের সাথে গল্প কর। আমরা আশা করছি আর ৩ ঘন্টার মধ্যেই কার্টার সম্পুর্ণ সুস্থ হয়ে, আগের অবস্তায় ফিরে আসবে।খুব বুদ্ধিদীপ্ত কন্ঠে ভাবলেশহীন কন্ঠে ঘোষনা করল লোকটি।হোয়াট !!...ম্যাক চিত্তকার করে উঠে।কি বলছেন আপনারা? কার্টার মানুষ না?...না ম্যাক, আমরা গত ১ বছর ধরে ৯৯ জন রোবট বিজ্জানী এবং ৭ জন মনুষ বিশষজ্ঞ মিলে কার্টারকে ডেভেলপ করছি, আমরা কার্টরের অনুভুতি,আবেগ,ভালোবাসা,চিন্তা-ধারা,আচরণ সবকিছু মানুষের মত করার চেষ্টা করছি। রোবট ওরগানাইজেশনের রিপোর্ট অনুসারে, ০.১৫৯৮% মানুষ গতানুগুতিক রোবটকে বন্ধু কিম্বা সংগী হিসেবে পছন্দ করছে না, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি রোবটকে গতানুগতিক ধারা থেকে বের করে হুবহু মানুষের মত করার।আর তার ই ধারাবাহিকতাই কার্টারকে ডেভেলপ করা হয়েছে। কার্টার ৯৮.৮৯৭৬% মানুষের মত আচরণ করতে সক্ষম এবং ।০.০০৪৫% মানুষ বুঝতে পারে, কার্টার একটা রোবট। যাই হোক ধন্যবাদ ম্যাক, আমাদের কাজে সহযোগীতা করার জন্যে।মিঃ ম্যাক আপনি একটু অপেক্ষা করুন, কার্টার যেগে উঠবে- বলে লোকটি চলে গেল। ম্যাক হতাশা, ঘৃনা অর ব্যার্থতার মিশ্র অনুভুতি নিয়ে আর একজন রোবট কিন্তু মানুষের মত একজন রোবট,কার্টারের জন্য অপেক্ষা করতে থাকল। এই অপেক্ষার প্রতিদান হিসেবে রোবটিক ওরগানাইজেশন হয়তো তাকে কার্টারের অনুলিপি দিবে, বন্ধু হিসেবে।ম্যাকের বন্ধু হিসেবে একজন মানুষ কে পাওয়া হয়ত আর হল না। তবুও ম্যাক অপেক্ষায় আছে, সে দেখতে চাই, নতুন কার্টার আসলে কতটা মানুষ হতে পারে!